,

নবীগঞ্জে আলোচিত সবজি বিক্রেতা লিটন হত্যাকান্ড! মামলার প্রধান আসামী দু’সহোদর জুবেল-রুবেলসহ গ্রেফতার ৬

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে আলোচিত সবজি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামী দু’সহোদর জুবেল মিয়া ও রুবেল মিয়াকে বান্দরবন (রাঙামাটি) থেকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ পুলিশ। এর আগে মামলার ৫নং আসামী মোজাহিদ আলীকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউপির তাজপুর এলাকা থেকে এবং ৪নং আসামী জিলকার মিয়াকে নেত্রকোনা ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মামলার অগ্রগতি, মুল রহস্য উদঘাটন এর সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের হত্যাকান্ডের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের ও ওসি ডালিম আহমদ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিগত ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নং ১৬, তাং ২০-০৯-২০২২ইং দায়ের করেন নিহতের ভাই সালেহ আহমদ। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ইনাতগঞ্জ ফাড়িঁর ইনচার্জ কাউছার আলমকে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর পাহারাদার বুলকি মিয়া (৭০) সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান নবীগঞ্জ থানার এসআই রাজিবুর রহমান। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডালিম আহমদের দিক নির্দেশনায় তদন্ত কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার এসআই রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুত্র ধরে মামলার প্রধান আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে সবজি ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের মামলার এজাহার নামীয় সকল আসামীই পুলিশের খাচাঁয়।
গত ৭ই নভেম্বর তাজপুর এলাকা থেকে ৫নং আসামী কসবা গ্রামের রজব আলীর ছেলে মোজাহিদ মিয়া (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়, পরদিন ৮ই নভেম্বর ঢাকা উত্তরা থেকে গ্রেফতার হন একই গ্রামের রকবুল মিয়ার ছেলে ৪নং আসামী জিলকার মিয়া (২৮)। তাদেরকে আদালতে রিমান্ড চেয়ে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৯ই নভেম্বর রাতে বান্দরবন (রাঙামাটি) থেকে মামলার প্রধান আসামী দু’ সহোদর একই গ্রামের কাছু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩০), জুবেল মিয়া (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশকে র‌্যাবের একটি চৌকুশ টিম সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ বাজারের একজন সবজি ব্যবসায়ী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ব্যবসা বন্ধ করার পর আর বাড়ি ফিরেনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন’সহ আত্মীয়স্বজন অনেক খোঁজাখঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরদিন নিখোজঁ লিটনের ভাই নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। অবশেষে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা বাজারের পোস্ট অফিসের পিছনে ডোবা থেকে স্থানীয় লোকজন লিটন মিয়ার লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।


     এই বিভাগের আরো খবর